মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী একার পক্ষে উৎপাদন সম্ভব নয়। কোনো কিছুর বিনিময় কিংবা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানুষ সেবা বা পণ্য ক্রয়-বিক্রয় কিংবা বিনিময় করে থাকে। আর এ পদ্ধতিকে বাজার ব্যবস্থা বলা হয়ে থাকে। অর্থনীতির ভাষায়, বাজার এমন একটি আর্থ-কাঠামো যা একাধিক ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যেকোনো প্রকারের পণ্য, কর্ম-দক্ষতা এবং তথ্য বিনিময়ে সাহায্য করে। তবে প্রতিযোগিতা হলো বাজারের অন্যতম অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে বাজারের আকার বৃদ্ধি পায়। উদ্ভাবন হয় নতুন নতুন পণ্যের কিংবা নতুন বিপণন ব্যবস্থার, অন্যদিকে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়ে না এবং বাজারে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়। ফলে উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি সৃষ্টি হয় নতুন কর্মসংস্থান। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা থাকে ও বাড়ে প্রবৃদ্ধির হার।
অন্যদিকে বাজারে সুষম প্রতিযোগিতার অভাবে কেবলমাত্র বাড়ে কতিপয় লোকের মুনাফা, কমে যায় উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান আর বাড়ে পণ্যমূল্য। বাজারে প্রতিযোগিতা না থাকলে অর্থ্যাৎ একচেটিয়া বাজার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলে নতুন করে কেউ উদ্যোক্তা হতে সাহস করে না। তাই পৃথিবীর যেকোনো দেশের সরকারের একটি প্রধান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য হওয়া উচিত কি করে বাজারে প্রতিযোগিতা ধরে রাখা যায়।
বাংলাদেশ বাজার অর্থনীতির দেশ। এই বাজার ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মেধা, কর্মদক্ষতা, পণ্য বা সেবার মান। কিন্তু আমাদের বাজার অর্থনীতি হয়ে যাচ্ছে যাচ্ছেতাই করার অধিকার। সঠিক প্রতিযোগিতার অভাবে বৈশ্বিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম বেশি। কাঁচাবাজার, পাইকারি বাজার, শেয়ার বাজার, আমানতের বাজার, ব্যাংক বাজার, ভোগ্যপণ্যের বাজার থেকে বিমানের টিকেটের বাজার পর্যন্ত কোথাও ক্রেতাদের কোন স্বস্তি নেই। বাজারে অনেক সময়ই দেখা যায় জোটবদ্ধতা সৃষ্টি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়, যা অর্থনীতিতে কারটেল নামে পরিচিত। আর আমাদের দেশে তা ‘সিন্ডিকেট’ নামে অধিকতর পরিচিত। এ অবস্থায় গুটি কয়েক বিক্রেতা বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে জোট তৈরি এবং বাজারে সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করেন। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়।
ছবি: সংগৃহীত
আবার বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে দাম ও গণপরিবহনে টিকিটের মূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ পরিমাণ বেড়ে যায় যা সাধারণের কাছে সিন্ডিকেট পন্থা নামে অভিহিত। কয়েকদিন পরপরই খবরের কাগজে প্রতিবেদন ছাপা হয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য বেড়ে চলেছে লাগামহীনভাবে। চাল, ডাল, নুন, তেল, সয়াবিন, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ছোলা, চিনি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ধরতে গেলে সারাবছরই দুলতে থাকে। কখনও চিনির দাম বাড়ছে তো কখনও তেলের দাম। কখনও পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে তো কাল ডালের দাম। এসব করে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আমদানি ব্যবসা, বিতরণ ব্যবসা, পাইকারি ব্যবসা দিনে দিনে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের হাতে সীমিত হচ্ছে। ফলে নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তারা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে আমাদের দেশে তা লাগামহীনভাবে বাড়ে। আবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও বৃদ্ধি অনুপাতে সে দাম আর কমে না। অন্যদিকে ঈদ-পূজা উপলক্ষে বাস-লঞ্চ মালিকরা জোটবদ্ধভাবে পরিবহনের ভাড়া বাড়ান নিজের ইচ্ছেমতো। সঠিক বাজার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না থাকার ফলে আমাদের দেশে ঔষধের দামও আকাশছোঁয়া। সব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, শুধুমাত্র কতিপয় ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে প্রতারণার শিকার হয়েই চলেছে ভোক্তারা। দেশের প্রচলিত আইনে কোনো অপরাধের শাস্তির জন্য যথাযথ প্রমাণ প্রয়োজন; কিন্তু সিন্ডিকেটকারীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রচলিত আইনে সম্ভব হয় না। ফলে সরকার বিব্রত হয় আর ক্রেতাদের বাড়ে সরকারের প্রতি ক্ষোভ।

ছবি: সংগৃহীত
বাজারের এমন চিত্র থেকে পরিত্রাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা আইন প্রণয়ন করে। ব্যবসা-বাণিজ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ (ঈড়ষষঁংরড়হ) নিয়ন্ত্রণ, কর্তৃত্বময় অবস্থানের (উড়সরহধহঃ চড়ংরঃরড়হ) অপব্যবহারে রোধ, জোটবদ্ধতা (অপয়ঁরংরঃরড়হ গবৎমবৎ) যা দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করে, এ সকল কর্মকান্ডকে নির্মূল করার জন্য প্রতিযোগিতা আইন তৈরী করা হয়েছে। আইনটিতে মোট ৪৬টি ধারা রয়েছে।
এই আইনটি প্রণয়নের পূর্বে বাংলাদেশে গড়হড়ঢ়ড়ষরবং ধহফ জবংঃৎরপঃরাব ঞৎধফব চৎধপঃরপবং (ঈড়হঃৎড়ষ ধহফ চৎবাবহঃরড়হ) ঙৎফরহধহপব, ১৯৭০ বলবৎ ছিল। প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ প্রনয়নের মাধ্যমে উক্ত আইনটি রহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণামূলক তথ্য থেকে জানা যায়, এই আইন প্রকৃতভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার কমপক্ষে ৫ শতাংশ বাড়বে। প্রতিযোগিতা আইনের উদ্দেশ্যসমূহ অর্জন করার উদ্দেশ্যে প্রতিযোগিতা আইনের ৫ ধারা মোতাবেক সরকার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছে।
২০১৬ সালে প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে গঠিত হয় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। মূলত তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রথমত: দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করে তা বজায় রাখা। দ্বিতীয়ত: বাজারে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ, মনোপলি (এককভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ) ও ওলিগপলি (সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মুষ্টিমেয় কিছু প্রতিষ্ঠানের হাতে বাজারের নিয়ন্ত্রণ রাখা) অবস্থা জোটবদ্ধ কিংবা কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহার সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধ এবং তৃতীয়ত: এমন কিছু হলে তা নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল করা। কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে প্রতিযোগিতা আইনে বলা হয়েছে, কোড অব সিভিল প্রডিউসর-১৯০৮ (অ্যাক্ট-৫ অফ ১৯০৮) এর অধীনে একটি দেওয়ানি আদালত যে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন প্রতিযোগিতা কমিশনও একই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। প্রস্তাবিত আইনে কমিশনের আদেশ লঙ্ঘনে ১ বছর কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইনে অসাধু ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন পত্রিকা মারফত জানা যায় পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে এই কমিশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সম্ভব হচ্ছে না।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা আইন প্রনয়ন করা হলেও সাধারণ জনগণ এটি সম্পর্কে ততটা জ্ঞাত নয় এবং এর প্রত্যাশামত লক্ষ্য অর্জন করাও সম্ভব হয়নি। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে জনগুরুত্বপূর্ণ আইনটি যথাযথভাবে কার্যকর করতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন: এক. প্রতিযোগিতা আইন সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে এবং এ আইন সম্পর্কে বেশি করে প্রচারণা চালাতে হবে। দুই. আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে যেন কোনো অপরাধী পার পেয়ে যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিন. বিভিন্ন সমিতি, জোট, ইউনিয়ন অর্থ্যাৎ ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সংগঠনের কর্মকান্ড বিশেষভাবে মনিটরিং করতে হবে। চার. আধুনিক যন্ত্রপাতি সাধারণের জন্য সহজলভ্য করতে হবে এবং উৎপাদনের যন্ত্রপাতি সামগ্রী আমদানিতে ভ্যাটের পরিমাণ হ্রাস করতে হবে। পাঁচ. সরকারি উদ্যোগে পণ্য সামগ্রী মজুদ করতে হবে যেন কখনও আমদানি রফতানি বন্ধ হলে দুর্যোগকালীন সময়ে নি¤œবিত্ত ও দুস্থ শ্রেনীর মাঝে নায্যমূল্যে বিক্রয় বা বিতরণ করা যেতে পারে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন পর্যায়ে মজুদ করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ছয়. প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় বিসিক শিল্প নগরী কার্যক্রমের আদলে অসংখ্য পাইকারি বাজার সৃষ্টি করা যেতে পারে। সাত. ঢাকার সাথে সারাদেশের নৌ-পথের যোগাযোগের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারলে বাজার ব্যবস্থা আরো সুসংহত ও সমন্বিত হবে এবং পণ্যমূল্য স্থিতিশীল হতে সহায়ক হবে। আট. প্রতিযোগিতা কমিশনে পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ করতে হবে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এর কর্মব্যাপ্তি ছড়িয়ে দিতে হবে। নয়. কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দশ. অভিযোগ দায়ের করার পদ্ধতি সহজতর করতে হবে এবং অভিযোগসমূহ দ্রæত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এগার. অন্যান্য অধিদপ্তর, কমিশন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্তঃযোগাযোগ এবং সমন্বয় করে প্রতিযোগিতা কমিশনকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বার. প্রতিযোগিতা কমিশনকে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির দ্বারা সমৃদ্ধ করতে হবে। তের. কমিশনকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বা উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং সেল গঠন করা যেতে পারে।
চৌদ্দ. প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে জোটবদ্ধ বা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অপকর্মের প্রমাণ পেলে জরিমানা করা ছাড়াও লাইসেন্স বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পনের. প্রতিযোগিতা আইন সম্পর্কিত অধ্যয়ন উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। ষোল. উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকার কর্তৃক বিশেষ ব্যবস্থায় সহজ শর্তে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করতে হবে। সতের. বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা বা বিশেষ কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে অন্যের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাধার সৃষ্টি করা মারাত্মক অপরাধ তা ওয়াজ-মাহফিল বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণের কাছে তুলে ধরতে হবে।
প্রতিযোগিতা বিরোধী আইন বাস্তবায়িত হলে বাজারে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পণ্য ও সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টির ফলে পণ্যে বৈচিত্র আসবে এবং নতুন উদ্যোক্তার বাজারে প্রবেশ সহজতর হবে। এছাড়া রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে অধিক পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরো বাড়বে। এমন প্রেক্ষাপটে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকা উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি করতে হবে।
বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহণকারীর মধ্যে যাতে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। প্রতিযোগিতা কমিশনের সাফল্য নির্ভর করবে মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহের সঠিক প্রয়োগের উপর। প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দুর্নীতি ও অনিয়ম কমে যাবে।
প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজার সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতনকরণ, সম্পৃক্তকরণ ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশের বাজারগুলোকে বিদেশের সঙ্গে আরো যুক্ত ও উন্মুক্ত করে দিলে বেসরকারি পর্যায়ে দক্ষ ব্যবসায়ী শ্রেনী গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতিতে এর যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটবে। গার্মেন্টস খাতের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, কোটা প্রথার চেয়ে মুক্ত প্রতিযোগিতায় অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সরকারের দক্ষ নেতৃত্বগুণে অর্থনীতি ব্যবস্থা এগিয়ে যাচ্ছে সমৃদ্ধির পথে, প্রয়োজন শুধুমাত্র সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।