Connect with us

অন্যান্য

ফেসবুকীয় আবেগ অনুভূতির সাতকাহন

Published

on

ফেসবুকীয় আবেগ অনুভূতির সাতকাহন

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের (যে কোন লেখক, সম্পাদক বা প্রকাশক নির্বিশেষে) “বিজ্ঞান আর্শীবাদ না অভিশাপ” নামক প্রবন্ধ রচনায় দু’টি কমন লাইন দেখতে পাওয়া যায়-“বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ” “বিজ্ঞান আমাদের উপকার করবে না অপকার করবে তা নির্ভর করে ব্যবহার ও ব্যবহারকারীর উপর।” বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এই যুগে আবেগ-অনুভূতি ও মতামত প্রকাশ, ব্যক্তিগত সম্পর্ক, দেশ-বিদেশের খবর, বিনোদন, কেনাকাটাসহ যাপিত জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকের উপর দেশের তরুণ প্রজন্মের নির্ভরতা পৌন:পুনিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফেসবুকীয় আবেগ অনুভূতির সাতকাহন

ছবি : সংগৃহীত

ট্র্যাক এক্স নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্ক  ডেমোগ্রাফিকস-২০১৭’ প্রতিবেদন অনুযায়ী ফেসবুকই এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। শীর্ষ পাঁচে এর পরে আছে যথাক্রমে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ও পিটারেস্ট। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রতিমাসে ২০০ কোটি মানুষ ফেসবুকের সেবা গ্রহণ করছে।

ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটাসের হিসাব অনুযায়ী, এশিয়ায় ফেসবুকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এই মাধ্যম ব্যবহারকারী প্রতি তিনজনের একজনই এই মহাদেশের বাসিন্দা।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (আইসিটি) বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। সরকারি হিসাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যত এ্যাকাউন্ট আছে, তার ৯৯ শতাংশই ফেসবুককেন্দ্রিক।

 

পূর্বেই উল্লেখ করেছি, আবেগ-অনুভূতি ও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ফেসবুকের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে যে, এই নির্ভরতা কি বর্তমানে যৌক্তিকতার সীমাকে অতিক্রম করছে বা যৌক্তিক মানদন্ডে এই নির্ভরতা কতটুকু যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে?

এক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় এখন আমরা অবলোকন করছি যা আমাদেরকে এ ব্যাপারে ধারণা প্রদান করতে সক্ষম।

প্রথমত, ফেসবুকে অবাধে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ পেয়ে আমরা ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয়তা ও অপ্রয়োজনীয়তার মধ্যেকার ফারাক উপলদ্ধি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। যেমন- একজন স্ট্যাটাস দিচ্ছে, প্লাসিংটন ইউনিভার্সিটিতে বায়োটেকনোলজি পড়তে চাইলে কি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আরেকজন স্ট্যাটাস দিচ্ছে, সে আলু দিয়ে পরোটা তৈরি করেছে। এখানে প্রথম ব্যাপারটা যতটা প্রয়োজনীয় দ্বিতীয় ব্যাপারটা ততটা প্রয়োজনীয় নয়। তবে উভয় ক্ষেত্রেই ফেসবুকের যে মূল লক্ষ্য অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ সেটা হচ্ছে কিন্তু অর্থাৎ ‘যৌক্তিক যোগাযোগ’ বলতে যা বোঝায় সেটা হচ্ছে কি? প্রয়োজনীয়তার মাপকাঠিতে সেটা কি উঠানো হয়েছে নাকি আমাদের প্রয়োজনীয়তা-অপ্রয়োজনীয়তা বোঝার উপলদ্ধির স্তর ক্রমশ হালকা হয়ে যাচ্ছে?

 

দ্বিতীয়ত, সেন্সরবিহীন ছবি (বিশেষ করে সেলফি) প্রকাশের সুযোগে মানুষের Face Value’ অর্থাৎ একজন আরেকজনকে দেখার আকুলতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। “বড় সাধ জাগে, একবার তোমায় দেখি”-এসব গান এখন আর মানুষকে আকুল করে না। অথচ ফেসবুক পূর্বযুগে একজন আরেকজনকে দেখার আকুলতা প্রবল ছিল। “কে যাস্ রে ভাটি  গাঙ বাইয়া, আমার ভাইধনরে কইয়ো নাইর নিতো বইলা”; যারে যা চিঠি লিইখ্যা দিলাম সোনা বন্ধুর নামে রে”-এসব গানে একজন আরেকজকে একনজর দেখার যে অপরিমেয় আবেগ-আকুতি ছিল তা সচেতন পাঠকমাত্রই বুঝতে পারেন যে, এখন তার আর বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই।

ফেসবুকীয় আবেগ অনুভূতির সাতকাহন

ছবি : সংগৃহীত

তৃতীয়ত, ফেসবুকে ইমোটিকন ব্যবহারের বদৌলতে যে কোন আবেগ, ভাব ও অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে একধরনের কৃত্রিমতা আমাদের মাঝে প্রবেশ করছে। যেমন-এখন আমরা খুব সহজেই কান্না ও হাসির ইমোটিকন ব্যবহার করে অনুভূতির দরজা না খুলেই অনুভূতিকে প্রকাশ করতে পারছি যাকে কোনভাবেই অকৃত্রিম বলা যায় না।

চতুর্থত, ফেসবুকের কারণে `Face to Face’ অর্থাৎ মুখোমুখি বসে কথা বলা বা চোখে চোখ রেখে কথা বলার মত শিল্পিত তথা সাহসী ব্যাপারটি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। “চোখ যে মনের কথা বলে”-কথাটি তার সত্যতা হারাচ্ছে। আসলে হয়তো আমরা মানুষ হিসেবে নিজেদের এমন একটা অবস্থানে নিয়ে এসেছি যেখানে একজনের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে আমাদের লজ্জা হয়। মানুষ এখন তাই ফেসবুকের ভার্চুয়াল পথেই কথা বলে। কেননা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে একজন মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হতে হয়। মানুষ তার মনুষ্যত্ব হারাচ্ছে। আর মানুষের এই দুর্বলতাকে ঢেকে দিচ্ছে ফেসবুকের ভার্চুয়াল পথ।

 

পঞ্চমত, ফেসবুক সম্পর্কে অতি সাম্প্রতিককালের একটি অভিযোগ এই যে, অপিরিচিতদের কাছাকাছি আনতে গিয়ে পরিচিতদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে ফেসবুক। উক্ত অভিযোগটির শক্ত ভিত্তি রয়েছে বৈকি। কেননা অধিকাংশ মানুষের ফেসবুক আইডি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাতে পরিচিত ও সুপরিচিতদের চেয়ে স্বল্প পরিচিত ও অপরিচিতদের আনাগোনাই বেশি। অর্থাৎ মানুষ এখন লোক দেখানো সম্পর্কে বিশ্বসী হয়ে পড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে।  অপ্রিয় হলেও সত্য যে Touchscreens are the real reason why humans lost touch with each other”.

 

আর নচিকেতার গানের ভাষায়-

“খোকাখুকু আজো প্রেমে পড়ে চলে দলে দলে,

মুখোমুখি বসে তারা মোবাইল ফোনেই কথা বলে।”

যার ফলশ্রুতিতে প্রায়শই মানুষকে এখন হিংসা, প্রতিহিংসা, আক্রোশ, ক্রোধান্ধতা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, ঔদ্ধত্যমূলক ও অমূলক আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। ক্রমশ হালকা হচ্ছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভেঙ্গে যাচ্ছে পারিবারিক, সামাজিক বন্ধন ও আত্মীয়তা। ফেবসুকের সাবেক কর্মকর্তা কামাথ পালিহাপতিয়া বলছেন, ‘লাইক’ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা মানুষকে ক্রমশ মেকি করে তুলছে”। ফেসবুকে তাৎক্ষণিক জনপ্রিয়তা পাওয়ার আকাঙ্খা মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। বদলে যাচ্ছে মানুষের সাইকোলজি।

আরেক সাবেক কর্মকর্তা শন পার্কার বলেন ফেসবুকে ‘লাইক’ পাওয়ার জন্য শারীরিক সৌন্দর্য্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে, যৌন উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। ফেসবুক কারও কারও ব্যক্তিগত সম্পর্ককেও প্রভাবিত করছে বলে দাবি করেন তিনি।

ষষ্ঠত, এবার একটি গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। বিষয়টিকে একটি উপমার প্রয়োগে হালকা করে তুলে ধরা যেতে পারে। মৌমাছিদের জীবনচক্রে যখন অসুস্থতা বা বয়সের কারণে রাণী মৌমাছিকে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য অযোগ্য মনে করা হয়, তখন রাণী মৌমাছির চারপাশে অন্যান্য মৌমাছিরা গুচ্ছ (Cluster) তৈরি করে রাখে যতক্ষণ না পর্যন্ত রাণী মৌমাছি অতিরিক্ত উত্তাপের কারণে মারা না যায়। বিষয়টি ‘Cuddle death’ (মৃত্যু আলিঙ্গন) নামে পরিচিত অথবা একে ভালবেসে (মূলত মেকি তথা ভয়ঙ্কর) হত্যাও বলা যেতে পারে।

ফেসবুকীয় আবেগ অনুভূতির সাতকাহন

ছবি : সংগৃহীত

বর্তমানে আমরা কোমলমতি ছেলেমেয়েদের হাতে ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় বা নিরুপায় হয়ে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা তুলে দিচ্ছি যখন তাদের মূলত পড়াশোনা, সৃজনশীলতার চর্চা এবং খেলার মাঠে খেলাধুলা করার কথা। কিন্তু স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের বদৌলতে তারা একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যে সমগ্র পৃথিবীটাকে কল্পনা করছে এবং বৃত্তের বাইরে গিয়ে চিন্তা করার সক্ষমতা হারাচ্ছে। এই বিষয়টিকে রাণী মৌমাছির ‘ Cuddle death’-এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কেননা এক্ষেত্রেও আমাদের ক্ষণিক ভালবাসার উত্তাপ কোমলমতি এসব ছেলেমেয়েদের সৃজনশীলতার অপমৃত্যু ঘটাচ্ছে, সেই সাথে তাদেরকে একটি বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ করে বৃত্তের বাইরে চিন্তা করা থেকে বিরত রাখছে। কিন্তু তাই বলে কি এসব কোমলমতি ছেলেমেয়েরা এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করবে না? হ্যাঁ- অবশ্যই করবে। তবে সেটা অবশ্যই এসব প্রযুক্তির উপযোগিতা উপলদ্ধি করার সক্ষমতা অর্জনের পরই কেবল মঙ্গলজনক বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

সবশেষে একটি জোকস্ দিয়ে এই বিষয়ে আলোচনার ইতি টানা যেতে পারে। জোকসটি ব্রিটিশ মুল্লুকের। ভারতীয় উপমহাদেশে ছুটি কাটাতে এসেছেন এক ব্রিটিশ নাস্তিক। সে একমাস উপমহাদেশে কাটালো এবং ফিরে গিয়েই আস্তিক হয়ে গেল।

তখন তার এক বন্ধু তাকে হঠাৎ করে নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিউত্তরে বলেছিলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে গিয়ে দেখলাম-এখানে কেউ কোন নিয়ম মেনে চলে না, মানুষ মানুষকে ঠকায়; প্রতারণা করে, হাসতে হাসতে মিথ্যা কথা বলে, প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে, প্রেমিকা-প্রেমিকের সাথে প্রতারণা করে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও উপমহাদেশটা থেমে নেই; চলছে। এর মানে উপরে নিশ্চয়ই আল্লাহ্, ঈশ্বর বা খোদা নামে কেউ আছেন যিনি এত অনিয়ম সত্ত্বেও উপমহাদেশটাকে চালিয়ে নিচ্ছেন। তাই ঈশ্বরের অস্তিত্ব যেহেতু বিদ্যমান সেহেতু তাঁর সৃষ্টি হয়ে তাঁকে ভালোবাসাও আমার উচিত।

এখন এই জোকস্রে সাথে ফেসবুকের প্রাসঙ্গিকতা হচ্ছে, বর্তমানে ফেসবুকের ব্যবহার ও অপব্যবহার নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে কিন্তু তা সত্ত্বেও ফেসবুকের ব্যবহার সমগ্র বিশ্বের ক্রমাগত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মানে ফেসবুকেরও নিশ্চয়ই ভালো, সুন্দর ও উপকারি দিক রয়েছে যার বদৌলতে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

তাই আমাদের উচিত হবে ফেসুবকের সেই ভালো, সুন্দর ও উপকারি দিকগুলোর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের ও সমাজ-রাষ্ট্রের কল্যাণ নিশ্চিত করা। এখানে আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ফেসবুকে আবেগ ও অনুভূতি অবাধে প্রকাশ করে আমরা যেন আবেগ ও অনুভূতি শুন্য না হয়ে যাই-কেননা কিছু আবেগ-অনুভূতি স্বকল্যাণ ও বিশ্বের কল্যাণের জন্য সংরক্ষণ করা অতীব জরুরী।

 

কিংকর দেবনাথ

সরকার ও রাজনীতি বিভাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।

অন্যান্য

কথাটি “না” বলতে শিখুন।

Published

on

কথাটি "না" বলতে শিখুন।
আপনি, আপনার বন্ধু,বন্ধবী, আপনার সহকর্মী, শিক্ষক,পাশের বাসার লোক সবারি একটি পরিচয় আছে তা হলো তারা ‘মানুষ’। হয়তো, তার একটি নিজেস্ব ধর্ম আছে। যার আলোকেই তার জীবনটা পরিচালিত হচ্ছে। তার কাছে সেটার স্থান অনেক উঁচুতে। সেটা তার বিশ্বাস, দীর্ঘদিনের অভ্যাস, তার ঐতিহ্য। আপনি চাইলেই পরিবর্তন করতে পারবেন না। কিন্তু একটি কথা তার মনে দাগ কেটে যায়। আপনার প্রতি সেই ভালোবাসা, শ্রদ্ধা নিমিষেই চলে যায়। আমি আপনার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের কথা বলছি। ধরুন : আপনি একটা স্ট্যাটাস দিলেন- “এটা কেন ধর্মীয় রীতি হলো। এটার কোন অর্থ নেই। এটা সঠিক নয়। “
হ্যাঁ, আপনার কাছে হয়তো সঠিক নয়। কারন যে মানুষটা ওই রীতিটা পালন করছেন কারন তার কাছে তা সঠিক মনে হয়। তাই সে পালন করছে। কিন্তু আপনি কি করলেন? তার দীর্ঘদিনের একটা বিশ্বাসকে অবজ্ঞা করলেন। আমরা এটা প্রায়ই করি না???
করি,আমি ও যে করি না তা নয়। আমরা করি। হয়তো কেউ হঠাৎ মুখ থেকে বের করে ফেলি। এটা ঠিক কি ঠিক?
সমাজবিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করলে দেখবেন, আপনি কোন না কোন ভাবে আপনার চারপাশের মানুষ দ্বারা প্রভাবিত। মানে, আপনার চারপাশের মানুষ কোন না কোন ভাবে আপনাকে সাহায্য করে থাকে। পেট,কিডনি, নাড়িভুড়ির গল্পটা পড়েছেন হয়তো। না হয়  সাধারন বিজ্ঞানের বাস্তুসংস্থান এর অধ্যায়টা পড়লে বুঝবেন। জীবনটা ঠিক এমনি। সবকিছুর সবার সাথে সবার সম্পর্ক নিবিড়। আচ্ছা, আমেরিকার সম্প্রতি বর্নবাদের কথায় ধরুন। কোন লাভ আছে সমাজের একটা অংশের মানুষের বিরুদ্ধে যাওয়ার? রাজনীতি একটু ভিন্ন জিনিস। কিছু স্বার্থপর মানুষের প্রতিযোগিতা। যেখানে প্রথমেই শিখানো হয়,সে আর তুমি ভিন্ন। তাই রাজনীতি থেকে সরে সমাজিক কথাই বলি। এ কথাগুলো তো শুনেছেন, মন ভাঙ্গা মন্দির/মসজিদ ভাঙ্গার সমান। যদিও এই কথাটা প্রেমের ক্ষেত্রে ব্যবহারিত  হয় বেশি। কিন্তু জানেন কি আপনার একটা কথায় আপনার সহকর্মী, কাছের বন্ধুর মন ভেঙ্গে যেতে পারে। সত্যিই ধর্মের জায়গাটা সবার কাছে অনেক বড় একটা স্থান। তাই আপনার সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, অাদর একটি মাত্র কথার মাধ্যমে বিলিন হতে দিয়েন না। প্রতিটি মানুষের কাছে তার ধর্মটা শ্রেষ্ঠ। আপনি যদি অন্যের কাছে আপনার ধর্মটাই বড় করে দেখাতে চেষ্টা করেন তাহলে আপনি বোকা, স্বার্থপর, অসামাজিক, ভন্ড। আর এই নিচু মনোভাব পৃথিবীর বুকে একটা কৃএিম সমস্যার জম্ম দিয়েছে যার নাম উগ্রবাদ। আর উগ্রবাদের সাথে জড়িত হিংসা,লোভ, যৃনা, পশুত্ব। যার শেষ পরিনিত যুদ্ধ,  বিনাশ, ধংস।
তাই আমাদের উঠিত, সকলকে সঠিকভাবে তার নিজেস্ব ধর্মটা পালন করতে দেওয়া যা দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্ভব। আর চারপাশের মানুষের কথা চিন্তা করে আমাদের মনোভাব প্রকাশ করা উচিত। তাহলেই ভালো থাকবো আমি, আপনি,আপনার, সহপাঠী, বন্ধু, এবং সবাই।

প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।

Continue Reading

অন্যান্য

পৃথিবী আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে

Published

on

পৃথিবী আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে

নিঃসন্দেহে এ গ্রহের সবচেয়ে নির্যাতিত, নিষ্পেসিত, জনগোষ্ঠী ফিলিস্তিনিরা। দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশী সময় ধরে তাদের উপর কেবলই ইসরাইলী অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে নি বরং দানব রাষ্ট্র ইসরাইল তাদেরকে করছে বাস্তুচ্যুত।

কামান, ট্যাংকের মর্টার শেল দিয়ে, কিংবা বোমারু বিমানের আঘাতে ছিনিয়ে নিচ্ছে শত শত নিরপরাধ ফিলিস্তিনীর(নারী, শিশু,যুবক যুবতী, বৃদ্ধ মানুষের) জীবন।
মানবতার ধ্বজ্বধারী, মানবাধিকারের তল্পাবহনকীর পশ্চিমাদেশগুলোয় ইসরাইলের অন্যতম সর্মথক, অস্ত্রের সরবরাহকারী, অর্থের যোগানদাতা। বিশ্বগণমাধ্যমগুলোর ভয়ংকার মিথ্যাচার,  পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ আর বিশ্বাস ঘাতক আরবদেশগুলোর পিন পতন নীরবতায় প্রমাণিত পৃথিবী গ্রাস করছে ফিলিস্তিনকে, ধেয়ে আসছে ফিলিস্তিনীদের দিকে। আর তাইতো ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি মোহাম্মদ দারউশ লিখেছেন তার বিখ্যাত কবিতা, পৃথিবী আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে

পৃথিবী আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে
আমাদের ঠেসে ধরছে একেবারে শেষ কোণায়

এই অত্যাচার সহ্য করতে আমরা আমাদের অঙ্গ প্রতঙ্গ গুলো ছিড়ে ফেলব
দুনিয়া আমাদেরকে গ্রাস করছে।
আমার মনে হয় আমরা যদি গম হতাম
তাহলে মরেও আবার বাচতে পারতাম।

আমার মনে হয় পৃথিবী আমাদের মা ছিলেন
তাই তিনি আমাদের প্রতি দয়া করবেন।

আমার মনে হয় আমরা পাথরের উপরে ছবি ছিলাম, আমাদের স্বপ্নগুলোকে আয়না হিসেবে বয়ে নিতে
আমরা তাদের মুখ দেখেছি,য়ারা আমাদের শেষ জনের হাতে মারা যাবে,
আত্মার শেষ প্রতিরক্ষার মধ্যে।

আমারা তাদের শিশুদের ভোজ নিয়ে কাদলাম
আমরা তাদের মুখ দেখছি যারা আমাদের সন্তানদের ছুড়ে ফেলবে, শেষ কোণার জানালাগুলির বাইরে।
আমাদের তারা গুলাকে ঝুলাবে।
শেষ সীমান্তের পরে আমাদের কোথায় যাওয়া উচিত?
শেষ আকাশের পরে পাখিরা কোথায় যাবে?
গাছগুলির কোথায় ঘুমানো উচিত
বাতাসের শেষ নিঃশ্বাসের পরে?

আমরা রক্তের স্রোত দিয়ে আমাদের নাম লিখব।
আমরা আমাদের মাংসপিন্ড দিয়ে শেষ হয়ে যাওয়া গানটির মাথা কেটে ফেলব।
আমরা এখানে শেষ প্রান্তে মরে যাব।
এখানে এবং এখানেই আমাদের রক্ত জলপাই গাছ রোপন করবে।

মাহমুদ দারউশ(

ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি)

 

মূলকবিতা

The earth is closing on us

Mohmoud Darwish

The Earth is closing on us
pushing us through the last passage
and we tear off our limbs to pass through.
The Earth is squeezing us.
I wish we were its wheat
so we could die and live again.
I wish the Earth was our mother
so she’d be kind to us.
I wish we were pictures on the rocks
for our dreams to carry as mirrors.
We saw the faces of those who will throw
our children out of the window of this last space.
Our star will hang up mirrors.
Where should we go after the last frontiers ?
Where should the birds fly after the last sky ?
Where should the plants sleep after the last breath of air ?
We will write our names with scarlet steam.
We will cut off the hand of the song to be finished by our flesh.
We will die here, here in the last passage.
Here and here our blood will plant its olive tree.

প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।

Continue Reading

অন্যান্য

বাংলাদেশের ভূমিরূপ যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে

Published

on

বাংলাদেশের ভূমিরূপ যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে

অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ইতিহাস আমরা সবাই জানি। কিন্তু এর সঠিক ভৌগলিক ইতিহাস আমাদের প্রায় অনেকেরই অজানা। চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের আদি ইতিহাস।

আমাদের এই ব-দ্বীপের সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে এই ভূমিরূপের সৃষ্টি এবং আদি অবস্থা সম্পর্কেও।আমাদের অনেকের অজানা যে আমাদের এই ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেট বা এই ভারতীয় উপমহাদেশ পূর্বে মূলত এশিয়ার অংশ ছিলো না।ভূমিকম্প নিয়ে পরিচিতি থাকার সুবাদে টেকটোনিক প্লেট সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সবাই জানি।

জুরাসিক পিরিয়ডে,সেই ডায়নোসর যুগে অর্থ্যাৎ  আনুমানিক ১৪০ মিলিয়ন বছর পূর্বে এই ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট ছিল মূলত একটি বিশাল টেকটোনিক প্লেটের অংশ যার নাম ছিল গন্ডোয়ানাল্যান্ড।সেসময় পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ মেন্টল উথলে ওঠার ফলে গন্ডোয়ানাল্যান্ডের টেকটোনিক প্লেটে ফাটল ধরে এবং চার খন্ডে বিভক্ত হয়ে তা আফ্রিকান,এন্টার্কটিক,অস্ট্রেলীয় এবং ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেটে পরিণত হয়।আমাদের এই টেকটোনিক প্লেট মূলত ইন্দো-অস্ট্রেলীয় টেকটোনিক প্লেটের অন্তর্ভুক্ত যা মাদাগাস্কার থেকে বিভক্ত হয়েছিলো বলে ধারণা  করা হয়।

অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে আমাদের এই টেকটোনিক প্লেটের পুরুত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার এর মতো যেখানে গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অন্যান্য অংশ গুলো ১৮০ কিলোমিটার কিংবা তারও বেশি পুরুত্ব সম্পন্ন।ফলে এর গতিবেগও ছিল সবচেয়ে বেশি যা ছিল ১৮ থেকে ২০ সে.মি করে প্রতি বছর,যেখানে অন্যান্য গুলো ছিলো ২-৪ সেন্টিমিটার করে প্রতি বছর।এই প্লেটের উত্তরমুখি আনুমানিক প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার যাত্রার পর আজ থেকে আনুমানিক ৪০-৫০ মিলিয়ন বছর পূর্বে তা ইউরেশিয়ান,অর্থ্যাৎ ইউরোপ এবং এশিয়া যেই টেকটোনিক প্লেটের উপর অবস্থিত তার সাথে প্রবল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।এই যাত্রাকালে সৃষ্টি হয় ভারত মহাসাগর।আর ধারণা করা হয় সংঘর্ষের পর ইউরেশীয় প্লেটের ভূমিরূপকে ঘিরে থাকা টেথিস সাগর চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।

দুটো টেকটোনিক প্লেটের যখন মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তখন একটি অপরটির উপরে চলে যায়।এবং পাহাড় পর্বত বা আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয় ভেতরকার ভূমিরূপ বা শিলাস্তর উত্থিত হয়ে।

ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টাল টেকটোনিক প্লেটের সাথে প্রাথমিক মৃদু ধাক্কায় একাংশ যুক্ত হয় ইউরেশিয়ান প্লেট।তখন সমুদ্র তলদেশ থেকে উত্থিত হয় নেপাল এবং তিব্বত উপত্যকা। এরপরই এক প্রবল সংঘর্ষের ফলে বিশাল সীমানাজুড়ে ভূমিরূপে ভয়ানক সংকোচন ঘটে প্রবল ভাঁজ সৃষ্টি হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই ভূমিরূপ উঁচু হয়ে যায়। যার ফলে সৃষ্টি হয় হিমালয়,পৃথিবীর নবীনতম পর্বতশ্রেণী এবং পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দু,মাউন্ট এভারেস্ট।এই সংঘর্ষ এখনো অব্যহত।এবং এর ফলে হিমালয়ের উচ্চতাও গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৫ মিলিমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে।এবং এই ইন্দোঅস্ট্রেলীয় প্লেট গড়ে ২ থেকে তিন সেন্টিমিটার করে উত্তরমুখী হয়ে সঞ্চরণশীল।

এইতো গেলো হিমালয় সৃষ্টি,এবার আসা যাক বঙ্গীয় ভূমিরূপ বা আমাদের এই ভূখণ্ড কিভাবে হলো এবং বাংলাদেশের পাহাড়গুলো কবেকার সৃষ্টি!

বাংলাদেশের বেশ কিছু অঞ্চল যেমন রংপুর,দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চল গন্ডোয়ানাল্যান্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকাকালীন সময় থেকেই ছিলো।কিন্তু বাকি অংশের কোনো অস্তিত্ব তখনো ছিলো না।এই অঞ্চল সৃষ্টি হয় হিমালয় সৃষ্টির পরপর।দুই টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট  হিমালয় অঞ্চল সুস্থিত অবস্থায় আসতে অতিবাহিত হয় অনেক অনেক যুগ।আর এই সুস্থিত হবার কালে এইসব উচ্চভূমির পাদদেশে এসে স্পর্শ করে সমুদ্র। হিমালয়ের সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় মেঘ বাধা পেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বিভিন্ন উচ্চভূমিতে ধসের ফলে সেই সময়কালে তখন অগভীর জলাশয় উৎপন্ন হওয়া শুরু হয়।এবং এর প্রবাহ থেকে বালি,মাটি,চুনাপাথর জমে পর্বতের নিমজ্জিত অংশগুলো ভাসমান হতে থাকে।অইসব উচ্চভূমি থেকে পানির প্রবাহে ভেসে এসে জমতে থাকা ভূ-ত্বকীয় উপকরণ থেকেই ধীরে ধীরে বঙ্গীয় ভূমি-রূপ সৃষ্টি হয়।সিলেট অঞ্চলে জমা চুনাপাথর অই সময়কার ভেসে আসা জলপ্রবাহেরই নিদর্শন

এরপর প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার বছর পূর্বে সমস্ত পৃথিবীর সমুদ্র তলদেশ অনেক নিচে নেমে যায় যার ফলে প্রচুর পলিমাটি জমা হয় এবং পানির গভীর প্রবাহ গুলোও থেকে যায়।পলি জমতে থাকে।যার ফলে একটা বিশাল ভূমিরূপকে পেঁচিয়ে ধরে শত শত নদী নিয়ে সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু হয় ব-দ্বীপের। যার ফলে বাংলাদেশের বেধিরভাগ অঞ্চলই সমতল। এদিকে ঠিক একই সময়ে পূর্বাংশের আরাকান অঞ্চলেরও গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন বিভিন্ন পাহাড়-পর্বতের উত্থান হয়। অইদিকে হিমালয়ের গঠন প্রক্রিয়াও তখন প্রায় সম্পূর্ণ হবার পথে।

আজ থেকে প্রায় ৫০-৫৩ লক্ষ বছর পূর্বে বার্মা রেঞ্জের সাথে ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টাল প্লেটের আবার কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।এতে ধাবমান ইন্ডিয়ান প্লেটের সাথে বার্মা প্লেটের একপ্রকার ঘূর্ণণ গতি সৃষ্টি করে যার ফলে বঙ্গীয় উপকূলের ত্রিভুজাকৃতির চাপ পড়ে এবং পূর্বাংশে উঁচু নিচু ভাজের সৃষ্টি হয় যার থেকে বান্দরবান,সিলেট,চট্টগ্রাম,মেঘালয়,আসামের, ও আরাকান রাজ্যের পাহাড় শ্রেণীর সৃষ্টি হয়।কিছু জায়গার অধিক সংকোচনের ফলে উঁচু নিচু ভাজের পাহাড় পর্বত সৃষ্টি হয় বেশ কয়েকটি ধাপে, যেমনটা দেখতে পাই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে।আবার কিছু মৃদু ভাজের পাহাড়শ্রেণী ও তৈরী হয়। সীতাকুণ্ড -মীরসরাই রেঞ্জ,,সিলেট রেঞ্জ,কুমিল্লার লালমাই,ময়মনসিংহের গারো পাহাড় এইসব মৃদু ভাঁজ যুক্ত পাহাড়। তারপর বছরের পর বছরের রূপান্তরিত রূপ আজকের এইসব পাহাড়-পর্বত।

সোর্সঃ
1.
http://eurasiatectonics.weebly.com/indian-plate.html
2.
http://onushilon.org/geography/bangladesh/vuprokriti.html
৩.
https://pubs.usgs.gov/gip/dynamic/himalaya.html

প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।

Continue Reading

সর্বাধিক পঠিত