“শস্যক্ষেত্র উর্বর হল, পুরুষ চালাল হাল
নারী সে মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল”
কাজী নজরুলের কবিতার চরণ দুটিতে আমরা সমাজে নারীদের অবদানের তাৎপর্যতা লক্ষ্য করি। কাজী নজরুল প্রায় এক শতাব্দী পূর্বে সমাজে নারীর অবদানের কথা যেভাবে অকপটে বলে গেছেন আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীদের অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ করি। এখনো আমাদের সমাজব্যবস্থা নারীদের পিছনে ফেলে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।যদিও সমাজের অর্ধেক অংশই নারী। একটি সমাজকে উন্নতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে হলে নারী পুরুষ উভয়কে সমানতালে এগিয়ে যেতে হবে। নারীকে পুরুষের সহযোগী হয়ে সমাজ ও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে। যেখানে নারীরা পিছিয়ে আছে কয়েক হাজার মাইল! নারীদের এগিয়ে চলার জন্য প্রয়োজন নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অগ্রাধিকার।
এখন কথা হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন বলতে আমরা আসলে কি বুঝি? পুরুষদের পিছনে ফেলে,অবহেলিত করে নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া অথবা র্যাডিক্যাল ফেমিনিস্টদের তত্ত্বমতে নারীপ্রধান সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করা? না! এই দুটির কোনটাই বাস্তবিকপক্ষে নারীর ক্ষমতায়নকে বোঝায় না। সত্যিকারার্থে, নারীর ক্ষমতায়নের কোন সঠিক সংজ্ঞা নেই।
নারীর ক্ষমতায়ন বলতে, সমাজে নারী- পুরুষের সমতা অর্জন। অন্যভাবে বলতে গেলে ব্যক্তির নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার অধিকার, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার ও পেশাগত দক্ষতা বাড়ানো বিশেষ করে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ণ অধিকার পাওয়া। বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞানুযায়ী, ” ক্ষমতায়ন এমন একটি প্রক্রিয়া যা ব্যক্তি বা দলের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।” অর্থাৎ একজন ব্যক্তিকে এমন সাবলীলভাবে গড়ে তোলা যেন সে ‘ পারিনা ‘ এই শব্দটাকে গ্রাহ্য না করে ‘পারি’ শব্দটাকে নিজের জীবনে যুক্তিযুক্ত করে তুলতে পারে।
আচ্ছা, সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন কেন দরকার? এবং সমাজে এর প্রয়োজনীয়তা কি? স্পষ্টভাবে বলতে গেলে নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি শুধু সমাজ, দেশের উন্নয়নের জন্য না নারীর জন্যও তা প্রয়োজনীয়। ক্ষমতায়ন নারীর নিজেদের মানবিক ও মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলে নারীকে প্রশিক্ষিত করে আর নারীকে শুধু প্রশিক্ষিত-ই করেনা কিভাবে সমাজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব তা সম্পর্কেও নারীদের সচেতন করে তুলে। আমরা জানি যে, ক্ষমতায়ন শব্দটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে, রাজনৈতিক স্থায়িত্বকে পুনর্গঠন করতে এবং সামাজিক কাঠামো পরিবর্তন করতে মূল চাবিকাঠি হিসেবে ভূমিকা পালন করে। নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ” নারীর সফল হওয়া মানেই একটি জাতির অধিক সফলতার দিকে ধাবিত হওয়া”। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান বলেছেন, ” উন্নয়নের প্রধান উপাদানই হল নারীর ক্ষমতায়ন”।
তাহলে ব্যাপারটা খুব সহজেই বোধগম্য যে, সমাজের উন্নতি নারীর সহযোগীতা ভিন্ন অসম্ভব। কারণ একটা সমাজে নারী-পুরুষ সমানসমান অর্থাৎ সমাজের অর্ধেক জনসংখ্যাই নারী এবং নারীদের ক্ষমতায়ন ব্যতীত সমাজ বা দেশের উন্নয়ন শুধু অসম্ভব নয় উন্নতির অন্তরায়ও বটে!আসলে সমাজ কতটা নারীর ক্ষমতায়ন দিচ্ছে অথবা কতটা এগিয়েছে নারীরা? তা বিবেচনা করলে দেখা যাবে এখনো নারীরা কত পিছিয়ে রয়েছে। বিশ্বে যদি দারিদ্রসীমা শুধু নারী- পুরুষের মাঝে বিবেচনা করা হয় তাহলে দেখা যায় যে, নারীরাই সবচেয়ে বেশি দরিদ্র। বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখতে পাই যে, বাংলাদেশের নারীরা সামঞ্জস্যহীনভাবে দরিদ্রতা ও বৈষম্যের শিকার। ২০১৮ এর এক তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় মাত্র ২০% নারী কৃষিক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করে যার পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য।

ছবি : সংগৃহীত
এছাড়াও পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীদের গৃহস্থালি কাজেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন অধিকার থাকেনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। এভাবে অর্ধেক জনসংখ্যাকে পিছনে ফেলে সমাজ তথা দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের একটি কথা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি সমাজকে দু চাকা বিশিষ্ট শকটের সাথে তুলনা করেছেন, যার একটি চাকা পুরুষ আরেক চাকা নারী। এখন শকটের একটি চাকা বড় আরেকটি চাকা আকারে ছোট হয় তাহলে শকটের চলা অসম্ভব অর্থাৎ এটি এক স্থানেই ঘুরতে থাকবে এবং একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে! ঠিক তেমনি সমাজের অর্ধেক সংখ্যক নারী যখন সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে তখন সমাজের অবস্থাও দু চাকা বিশিষ্ট শকটের মতোই হবে এবং উন্নতির দোরগোড়ায় পৌঁছানোর আগেই স্থবির হয়ে পড়বে। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে নারীরা কিভাবে তাদের অবস্থান বদলে সমাজ তথা দেশের উন্নয়নের দিকে ধাবিত হতে পারে? আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, ‘আত্মসচেতনতা’ বৃদ্ধি করতে হবে। আত্মসচেতনতা মানে ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে নিজেই উপলব্ধি করা, নিজেকে জানতে পারা ও বুঝতে পারা। আর এই সচেতনতা বাড়ানোর মূলশক্তি-ই হল শিক্ষা, শিক্ষাই হতে পারে প্রধান কেন্দ্রবিন্দু আত্মসচেতনতা বৃদ্ধির এবং নারীদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার প্রাথমিক হাতিয়ার। এ প্রসঙ্গে আফ্রিকান একটি প্রবাদের কথা উল্লেখ না করলেই নয়, “If you educate a man you educate an individual, but if you educate an women you educate a family ” নারী শিক্ষা কতটা জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে নেপোলিয়নও বলে গেছেন। তাহলে নারীর ক্ষমতায়ন হতে হলে আগে নারী শিক্ষা প্রয়োজনীয়।
নারীরা বাস্তবিক অর্থেই কি শিক্ষিত হচ্ছে? অথবা কতটুকু শিক্ষা নিতে পারছে ব্যাপারটা আসলে প্রশ্নাত্মক! আমরা যদি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বিশ্বের দিকে তাকাই তাহলে ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারব যে, নারীর শিক্ষাক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় কত পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু নারীদের অগ্রগতির জন্য অবশ্যই শিক্ষিত হওয়া জরুরী। প্রশ্ন হতে পারে বিশ্বায়নের এই যুগে এসেও নারীরা কেন এখনো পিছিয়ে আছে অথবা কেনইবা ক্ষমতায়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছেনা? এক্ষেত্রে অনেক কারণ বিদ্যমান। প্রথম কারণ হিসেব যদি বলা হয় তাহলে বলব পুরুষের উপর নির্ভরশীলতা, এছাড়া নারীরা তাদের ঘরের অভ্যন্তরে ও বাইরে নানা ধরণের কাজ করে থাকলেও তার সঠিক মূল্যায়ন হয়না যা তাদেরকে আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।
বর্তমানে নারীরা কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে ঠিক তেমনি তারা সহিংসতার শিকারও হচ্ছে বেশি যা কঠোর আকার ধারণ করেছে এর ভুক্তভোগী হচ্ছে বিশেষ করে কর্মজীবী মহিলারা। তারা পথেঘাটে, অফিসে এমনকি বাসেও আজকাল নিরাপদ না। এর ফলে তাদের মাঝে কর্মবিমুখতার সৃষ্টি হচ্ছে।
জিন ইন(4Girls GLobal Leadership এর প্রতিষ্ঠাতা) তাঁর ভাষ্যমতে, “দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি মিনিটে দুইজন মেয়ে অথবা মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়। আমেরিকার মতন বিশ্বের সর্বোচ্চ সভ্য দেশেও বিদ্যুত চলে গেলে নারীরা সবচেয়ে অসহায়। প্রতি এক মিনিটে নয়জন নারী ধর্ষণের শিকার। প্রতিদিন তিনজন মহিলার অপমৃত্যু হয় তার স্বামী অথবা ছেলে বন্ধুর দ্বারা। এছাড়াও ১০০ মিলিয়নের বেশি মেয়ে শিশু হত্যা ও মেয়ে শিশুর ভ্রূণ হত্যা করা হয়” এসব কারণগুলো নারীমুক্তির অবক্ষয় ঘটায় এবং নারীর ক্ষমতায়নেও ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে।

ছবি :সংগৃহীত
এখন আসি বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রাধিকার সম্পর্কে, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটা উন্নয়নশীল দেশ যার অর্থনৈতিক উৎপাদন খুবই নিম্ন। বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী হওয়া সত্ত্বেও তারা পুরুষের তুলনায় সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে। বাংলাদেশের নারীরা রাজনীতি, অর্থনীতি তো দূরের কথা তারা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও অনেক পিছিয়ে। আমাদের দেশের এমন প্রত্যন্ত অঞ্চল রয়েছে যেখানে মেয়েদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধাপ পেরিয়ে মাধ্যমিকে উঠতে না উঠতেই তাদেরকে বিয়ের পিঁড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে তারা তাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি এমনকি নিজেদের যে মৌলিক অধিকার রয়েছে তা সম্পর্কেও অজ্ঞ থাকে। এবং তারাই আরেকটা অজ্ঞ সমাজের সূত্রপাত ঘটায়। একটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হল সকল জাতিকে শিক্ষিত হতে হবে কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ জনসংখ্যা নারী যারা অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত। বর্তমানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে কিন্তু আসল বিপত্তি ঘটে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে। তখন মেয়েদের পরিবার, সমাজ বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফলে তারা অনেকেই থেমে যায় উচ্চশিক্ষার দোরগোড়ায় এসেও। উচ্চতর শিক্ষা ব্যতীত আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মনির্ভরশীল হওয়া সম্ভপর হয়না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নারীরা উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পরও ভালো চাকুরি পাচ্ছে না অথবা উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার সুযোগটাও মেয়েদের পাওয়া দুষ্কর। এছাড়াও মেয়েরা উচ্চশিক্ষা লাভ করার পরও পুরুষেরর উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে নির্ভরশীলতা যেন তাদের অস্থিমজ্জায় মিশে গেছে!
আমরা দেখতে পাই বর্তমান যুগে এসেও বেশিরভাগ পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিও সেই প্রাচীনতমই রয়ে গেছে তারা নারীদের সহযোগী না ভেবে তাদের উপর কর্তৃত্ব ফলায়। প্রাচীন রোমে নারীদেরকে পুরুষেরা নিজস্ব সম্পদ ভাবতো এবং জড়বস্তুর মত আচরণ করত। গ্রিসে প্লেটোর সময়ে নারীদের প্রধান ধর্মই ছিল স্বামী সেবা আর সন্তান লালন করা। ভারতীয় উপমহাদেশের দিকে তাকলে দেখতে পাই এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। মেয়েরা যদিও আগের চেয়ে উচ্চশিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু কর্মসংস্থানে পদচারণা সেই তুলনাই অনেক কম। বাংলাদেশে বিসিএসের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে নারীরা প্রথম সুযোগ পায় ১৯৮৯ সালে, প্রশাসনে ২০০০ সালে এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নারীর এএসপি নিয়োগ দেয়া হয়।
কিন্তু দেখা যায় যে, নারীরা বিসিএস পরীক্ষায়ও খুবই নগণ্য পরিমাণ বসে ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

ছবি:সংগৃহীত
আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশকে উন্নত করতে হলে অবশ্যই নারীদেরকে শিক্ষিত ও কর্মজীবী করে তুলতে হবে কারণ দেশের অর্ধাংশ পিছিয়ে থাকলে কোনক্ষেত্রেই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন ঘটলে নারীরা সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে ভূমিকা রাখতে পারবে, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে, অন্যায় প্রতিরোধ করতে পারবে এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। বর্তমানে আশার কথা হলো নারীরা এখন সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ এর তথ্যমতে, বাংলাদেশে শিক্ষার হার ৭৪ শতাংশ এবং নারী শিক্ষার হার ৭১.২ শতাংশ। এক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীরা আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। বর্তমানে নারীরা সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম এমনকি খেলাধুলায়ও এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম এন্ড কমিউনিকেশন মিডিয়া গাইডলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকবছরের তথ্যানুযায়ী বলা যায়, সাংবাদিকতায় নারীর প্রতিনিধিত্ব হার গড়ে আট থেকে দশ শতাংশ বাড়ছে। ২০০৩ সালে যে হার আট শতাংশ ছিল তা ২০০৪ সালে বেড়ে ১৯ শতাংশ হয়েছে। ধীরগতিতে হলেও নারীরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটা সেক্টরেই নারীদের অংশগ্রহণ লক্ষণীয় হারে বাড়ছে যা আশার আলো দেখাচ্ছে তবুও নারীরা নিরাপদ নয় তাদের নিজস্ব কর্মসংস্থানে। তাই নারীমুক্তি আনতে হলে পুরুষদের নারীদের প্রতি সহযোগী ও সহকারী মনোভাব তৈরি করতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই, ক্ষমতায়ন কোন মানবিক দর্শন নয়। নারী বা পুরুষ যেই হোন না কেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন না হলে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়। তাই নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীর শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সকল মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করুক এবং পুরুষের প্রতিযোগী না হয়ে সহযোগী হয়ে সমানতালে অগ্রসর হয়ে দেশ ও সমাজের উন্নয়ন বয়ে আনুক।

লিমা আক্তার
স্নাতক ৪র্থ বর্ষ,
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।