করোনা ভাইরাসের নামের সাথে সাথে দুইটি শব্দ খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। যার একটি হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন এবং অপরটি হচ্ছে আইসোলেশন। যদিও অর্থগত দিক থেকে দুটির প্রায় একই।
Quarantine: (কোয়ারেন্টাইন) অর্থ সঙ্গরোধ।
Isolation: (আইসুলেশন) অর্থ বিচ্ছিন্নতা অথবা অন্তরণ।
অর্থাৎ সকল প্রকার সঙ্গরোধ করে নিজেকে বিচ্ছিন্ন কিংবা অন্তরণ করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে ‘কোয়ারান্টাইন’।
কিন্তু কেন এই কোয়ারান্টাইন?
করোনা ভাইরাস একটি মারাত্বক ছোঁয়াছে রোগ। পরিবেশের প্রায় সব উপাদানই এটির বাহক হিসেবে কাজ করে। বায়ু, পানি, পোষাক ইত্যাদির মাধ্যমে এই ভাইরাসটি সংক্রমিত হতে পারে।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হচ্ছে, মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কাজেই আক্রান্ত ব্যক্তির ছোয়াতে না আসলেও তার আশেপাশে থাকা ব্যক্তিদের মাঝে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় এই ভাইরাস। সুতরাং আক্রান্ত ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে কোয়ারান্টাইন না করতে পারলে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে একজন সুস্থ্য মানুষের দেহে খুব সহজেই ভাইরাসটি প্রবেশ করতে সক্ষম হবে এবং সেখান থেকেই মহামারী রূপ নিবে করোনা।
প্রথম পদক্ষেপ:
কোন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এমন সন্দেহ হলে কিংবা করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশপাশের লোকজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে।
প্রাথমিক লক্ষণ:
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর এবং শুকনো কাশি। কাজেই কোন ব্যক্তির মাঝে এ রকম লক্ষণ দেখা দিলেই তাকে ‘আইসোলেশনে’ চলে যেতে হবে।
কিভাবে আইসোলেশন করতে হবে?
⊗ ঘরে থাকতে হবে।
⊗ স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার কিংবা লোক সমাগম হয় এমন প্রকাশ্য স্থানে বিচরন বন্ধ করতে হবে।
⊗ কোন প্রকার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা যাবে না।
⊗ ঘুমানোর সময় একা ঘুমাতে হবে।
⊗ সব সময় সাবান দিয়ে হাত এবং অন্যান্য অঙ্গ পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
⊗ কোন জিনিস সেয়ার করা যাবে না।
⊗ সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
বাড়ির অন্য সদস্যদের দায়িত্ব কি হবে?
⊗ আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নিরাপদ দুরাত্বে থেকে (অন্তত ৬ফিট) রোগীর দরজায় খাবার পৌছে দেওয়া।
⊗ আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত পোষাক, খাবার পাত্র ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
⊗ আক্রান্ত ব্যক্তির রাথরূম ব্যবহার করা যাবে না।
⊗ সব সময় হাতে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
⊗ কোন জিনিস সেয়ার করা যাবে না।
⊗ আক্রান্ত ব্যক্তির আবর্জনা ব্যগে করে জ্বালিয়ে দিতে হবে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।