ফুটবল এই গ্রহে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলের নেশায় বুদ হয় না এমন মানুষ খুজে পাওয়া দূরহ ব্যাপার। আপনি,আমি যখন ফুটবল খেলা দেখি তখন হয়তো হঠাৎ গ্যালারিতে চোখ আটকে যায় সুন্দরী রমনী দেখে। মাঠের খেলায় মেসি, রোনাল্দো, নেইমার, গ্রিজম্যান, কৌটিনহো,এমবাপ্পেদের ফুটবল শৈলীতে আমার যতটা মুগ্ধ হই ঠিক ততটাই মুগ্ধ হই হঠাৎ গ্যালারীতে কোন, ষোড়শী, অষ্টাদশী, নীল চোখের, সোনালী চুলের সুন্দরীকে দেখলে।
ছবি : সংগৃহীত
আপনি কেবল গ্যালারীতে সুন্দরী নারী দেখেই বিমোহিত হবেন না, খেলার মাঠের নীল চোখের সুন্দরী এক নারী ফুটবলারের বল নিয়ে কারিকুরি কিংবা দুরন্ত গতিতে ছুটে চলাও আপনাকে বিমোহিত করবে।
ছবি : সংগৃহীত
তাঁর দুরন্ত ফ্রি কিক কেবল গোলাবার ভেদ করে জালে জড়ায় না আপনার হৃদয়েও তীরের মত বিধবে। কথা বলছিলাম মার্কিন নারী ফুটবলার অ্যালেক্স মরগ্যানকে নিয়ে। মার্কিন নারী ফুটবল দলের সহঅধিনায়ক অ্যালেজান্ড্রা মর্গান ক্যারাসকো। ফুটবল মাঠে বল নিয়ে যার দুরন্ত ছুটে চলা সবাইকেই মুগ্ধ করে আর তাই হয়তো সতীর্থ মেগান রাপিনো, কার্লি লয়েড, ও-হারা, মর্গান ব্রায়ানরা তাকে আদর করে ‘বেবি হর্স’ নামেই ডাকে।
ছবি : সংগৃহীত
৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার ৩০ বছর বয়সী অ্যালেকজান্ড্রা মর্গান ক্যারাসকো শুধু মার্কিন ফুটবল প্রেমীদের হৃদয়ের রাণী নয় বরং ফুটবল প্রেমী যেকোন মানুষকে তার নেশায় বুদ হতে বাধ্য করে।
তাকে দেখলে আপনার মনে হবে নীল
নয়না ,স্বর্ণকেশী সুন্দরীরা কেবল হলিউডের রুপালী পর্দায় দাপিয়ে বেড়ায় না বরং ফুটবল
মাঠে বল নিয়েও দাপিয়ে বেড়ায় আর তারপর হয়তো নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন।
ছবি : সংগৃহীত
অ্যালেকজান্ড্যা মর্গান ক্যারাসকো
২ জুলাই ১৯৮৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সানডিমাসে পামেলা এবং মিশেল মর্গানের দম্পতির ঘরে
জন্মগ্রহণ করেন।
ডাইমন্ড বার হাইস্কুলে পড়ার
অসময় অসম্ভব গতি সম্পন্ন অ্যাথেটেল হিসেবে
পরিচিত পান এবং ন্যাশনাল সকার কোর্স অ্যাসোসিয়েশনের নজরে আসেন মর্গান। তারপর ১৭ বছর
বয়সেই ডাক পান অনুর্ধ-২০ জাতীয় দলে।
২০০৮ সালে মেক্সিকোতে কনকা কাফ উইমেন আন্ডার-২০ খেলার
মাধ্যমে আন্তজার্তিক ফুটবলে পা রাখেন।
তারপর ২০০৮ সালে ফিফা আন্ডার-২০
বিশ্বকাপে চারটি গোল করেই দলকে শিরোপা এনে দেন নি বরং সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে ব্রোঞ্জবুট
আর রূপার বল জেতেন।
২০১১ সালে ফিফা উইমেন ওয়াল্ড
কাপে ২২ বছর বয়সী অ্যালেক্স মর্গান ছিল রুপার কাপ জেতা মার্কিন নারী ফুটবল দলের সবচেয়ে
কনিষ্ট খেলোয়াড়।
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে ১২৩ মিনিটে তার শ্বাসরুদ্ধকার গোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফাইনালে যেতে সক্ষম হয়। সেই বছর ২৮ গোল এবং ২১ এসিস্টের কারণে “ইউ,এস সকার অ্যাথেলেট অফ দ্যা ইয়া “ এবং “ফিফা প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার” ফাইনালিস্ট হন।
ফ্রান্সের লিওতে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ফাইনালে জয়ী হওয়ার পরে কাপ হাতে সর্তীর্থদের সাথে (Photo by Maja Hitij/Getty Images)
২০১৫ এবং ২০১৯ সালে সর্বশেষ দুই নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ান হয় মার্কিন নারী ফুটবলা দল এবং এই দুই বিশ্বকাপেই অ্যালেক্স মর্গানে বল মাঠে নিয়ে অপ্রতিরোধ্য।
২০১৯ বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলার কারণে সিলবার বুট পান অ্যালেক্স মর্গান।
২০১৯ নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার পরে কাপ ও সিলভার বুট হাতে মর্গান, ছবি : সংগৃহীত
৩০ বছর বয়সী এই মার্কিন ফরওয়ার্ড
২০১৫ সালে টাইম ম্যাগাজিন জরিপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাইস্ট পেইড নারী ফুটবলার ছিলেন।
সেই বছরই প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ফিফা ভিডিও গেমের কভার এ আসেন মর্গান। লিওনেল মেসির
সাথে ফিফা-১৬ এর কভারে আসেন অ্যালেক্স মর্গান।
লিউনেল মেসির সাথে ফিফা-১৬ কভারে মর্গান, ছবি : সংগৃহীত
২০১২ সালে স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড
এ বিকিনি পরে উপস্থিত হয়ে মার্কিন তরুণ ও বিশ্বের
ফুটবল প্রেমীদের হৃদয়ে ঝড় তোলা এই মার্কিন নারী ফরেওয়ার্ড ২০১৪ সালে কলেজ সতীর্থ ফুটবলার
স্যারভান্দো ক্যারাসকোর সাথে গটছাড়া বাঁধেন।
বল নিয়ে কারিকুরি কিংবা দুরন্ত
ফ্রি কিকে গোল করতেই কেবল পারদর্শী নয় অ্যালেক্স
মর্গান পড়াশুনাতেও যেন তিনি অপ্রতিরোধ্য।
নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউনিভার্সিটি
অফ ক্যালিফোর্নিয়া’ বার্কলে থেকে রাজনৈতিক অর্থনীতিতে স্নাতক অ্যালেক্স এক সেমিস্টার
আগেই স্নাতক সম্পন করেন। ২০০৯ সালে পড়াশুনার জন্য মাদ্রিদে যান মর্গান।
‘দ্যা কিকস’ নামের বইয়ের সিরিজ
লিখে তিনি নিউইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলিং অথার হন ২০১৩ সালে।
শুধু ফুটবল খেলতে নয় পড়তেও
ভালবাসেন অ্যালেক্স মর্গান। হারপার লি এর ‘টু কিল এ মকিং বার্ড এবং হোসাইন খালেদের থাউজেন্ডস স্পেলেন্ডিড সান্স’ তার প্রিয় বই।
মটর সাইকেল রেসিং ও তার খুব
প্রিয় এবং মটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসন্সেও আছে
অ্যালেক্স মর্গানের ।
রুপে গুনে অনন্য অরল্যান্ড
প্রাইডের এই ফরওয়ার্ড ফুটবল মাঠের বাইরে ব্যক্তি হিসেবেও অনন্য। স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে
নারীদের যুদ্ধের সমর্থন হিসেবে মাথায় পিংক কালারের স্ট্রাইপ পরতে দেখা যায় তাকে।
নারী ফুটবলারদের বেতন বৈষম্য
নিয়ে মার্কিন সকার এসোসিয়েশনের কঠোর সমলোচক অ্যালেক্স মর্গান।
অ্যালেকজান্ডার মর্গান ক্যারাসকো
রূপে গুনে অন্যন এক নারী ফুটবলার সারা বিশ্বের নারীদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম এক
আর্দশের নাম । মার্কিন নারী ফরোওয়ার্ড নাম্বার থারটিন এই নীল নয়না, স্বর্ণকেশী ফুটবলার
ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়াক ,দুরন্ত ফ্রিকে গোল
গোলবারে ভেদ করে জালে বল জড়াক আর ভক্তদেরকে ফুটবল উন্মাদনায় মেতে রাখুক এই প্রত্যাশা
সব সময়।
তথ্যসূত্র :
girlssoccernetwork.com
time.com
fifa.com
sportingnews.com
প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।
বাংলাদেশ যুবারা জিতসে, অভিনন্দন জানান। ফুল দিন, সম্মানের সাথে ওদেরকে নিজেদের বাসায় পৌঁছিয়ে দিন।
তবে দয়া করে এখনই ফ্ল্যাট ঘোষনা কইরেন না। আকবর আলীর মা বা পারভেজ ইমনের বাবাকে গণভবনে ডাইকেন না। এদেরকে টেলিভিশন প্রোডাক্ট বানাবেন না। এদের দিয়ে এখুনি মডেলিং করানোরও দরকার নেই।এখনই ওদের কে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্টারের সাথে তুলনা কইরেন না।।ওদেরকে নিঝের পরিচয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে দিন।
বরং ওদেরকে আইসোলেট করুন। আইসোলেট করুন দেশের নোংরা ক্রিকেট সংস্কৃতি থেকে। ২০০৪ আন্ডার নাইন্টিনে শিখর ধাওয়ান ছিল ইন্ডিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান। ধাওয়ান জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে প্রায় অর্ধ যুগ পরে। ধাওয়ান এখনো উন্নতি করছে নিজের খেলায়, এখনো অজিদের সামনে পেলেই জ্বলে উঠছে বারবার।
সেই বিশ্বকাপের আরেকজন সুরেশ রায়না। প্রায় এক দশক দাপটের সাথে সাদা বলে খেলেছে রায়না৷ দলের বাইরে গেলেও রায়না এখনো আইপিএলের অন্যতম হট কেক।
একই বিশ্বকাপে আমাদের স্টার ছিল নাফিস ইকবাল। নাফিস ইকবালের লাস্ট যে খবর শুনেছিলাম, আইপিএল এ ফিজের দু ভাষি হিসেবে কাজ করতে নাকি ইন্ডিয়া গিয়েছিলেন দুই বছর আগে। আহারে আইপিএল!.
আরেকজন আফতাব আহমেদ। অনেক আগে কোন ছিনতাইকারী হারিকেন দিয়ে বাড়ি মেরে তার মুখ ভচকায়া দিয়েছে বলে পত্রিকায় খবর এসেছিল। এখন নাকি টুকটাক কোচিং করাচ্ছেন।
এহসানুল হক সেজান,আল শাহরিয়ার রোকনের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে?অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এসেও মনে রাখার মতো কিছুই করতে পারেন নি তারা।।
নাঈম ইসলাম টিকে আছেন এখনো না থাকার মতো করেই। এবার তো বিপিএলও তাকে দেখা গেল না। ক্যারিয়ার সম্ভবত শেষ।
অনূর্ধ্ব ১৯ স্টার এনামুল, কোনো কাজে লাগল না। স্টার লিটন দাস দু তিনটা চার মেরেই কাজ শেষ মনে করে(যদিও ভালো করার যথেষ্ট সম্ভাবনা তার আছে)৷ শান্ত থেকে এখনো কিছু পাওয়া গেল না। মিস ডিরেকশনে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া মিরাজ দলের বাইরে।মুস্তাফিজ আর রাবাদার অভিষেক কয়েক মাস আগে পরে।।শুরুতে ফিজকে অনেক বেশি সম্ভাবনাময় মনে হলেও এখন সে রাবাদার চাইতে অনেক পিছিয়ে।।
তবে যুব দল থেকে নিজেদের ক্যারিয়ারকে ভালো অবস্থায় কেউ নিতে পারেন নি এমন নয়।। এদের সংখ্যাটা কম।।মুশফিক,সাকিব,তামিম জ্বলন্ত উদাহরন।।
তাই,প্লিজ এই যুব দলটাকে হারাতে দিয়েন না।
এই দল যে বহু সাধনার ফসল সেটা বিদেশী ধারাভাষ্যকাররাও বারবার বলছিল। দু বছরে অনেক শ্রম দিয়ে এদেরকে তৈরি করা হয়েছে। প্লিজ এদের কেয়ার নিন।
ফ্লাট দিয়ে এখুনি অতি বিত্তবান বানাবেন না, এই বয়সে এতটা ভার নিতে পারবে না। গণভবন এদের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেবে। টিভি স্টার হয়ে গেলে ফেইম সিকিং প্রবনতা চলে আসতে পারে।
ওদেরকে পকেটে ১০ টাকা না ভরে পেছনে ১৫ টাকা ইনভেস্ট করুন। রেসিডেন্সি উন্নত করুন, খাবারের মান বাড়ান। স্থায়ীভাবে মেন্টাল স্ট্রেন্থ ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দিন, রাখুন ট্যাক্টিকাল এনালাইজার।
আজকে ৫০ লাখ টাকার ফ্লাট না দিয়ে যদি এই ইনভেস্টগুলো করতে পারেন, ৪ বছর পর বিদেশী লীগ খেলে তারা ৪ কোটি টাকার এপার্টমেন্ট নিজেরাই কিনতে পারবে।
ভারত কীভাবে একজন যুবা কোহলীকে গ্রেট কোহলী করেছে সেই রোড ম্যাপটাই ফলো করুন প্লিজ।
দেশের এই যুবাদের হাত ধরে পথ দেখুক দেশের ক্রিকেট।
ওদের জন্য প্রার্থনা ও ভালোবাস !
লেখা: জয়নাল আবেদীন
প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।
৬ ফুট ৫ ইঞ্চি দেহের অধিকারী একজন ক্রিকেটারকে সতীর্থরা মজা করে ডাকতো এই নামটা! আরও সহজ করে দিলে একজন বোলারকে ডাকা হতো এই নামটা ধরে! তবে, যেমন তেমন বোলার নয় ; ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন বোলার। যার বোলিং ছিলো বৈচিত্রে ভরপুর! টানা বল করে যেতে পারতেন একই ভাবে, ক্লান্তিহীন দেহে! নিখুঁত লাইন আর লেন্থে! তার এই নিখুঁত লাইন লেন্থ ছিলো, তখনকার ব্যাটসম্যানদের এক আতংকের নাম! সাথে তো দুই দিকেই বল সুইং করানোর ক্ষমতা তো ছিলোই। তবে ছিলো না, অতিরিক্ত গতি ; তবে তার মধ্যম গতির মাঝেও ব্যাটসম্যানদের কম্পন সৃষ্টি হয়ে যেতো!
ছবি : সংগৃহীত
এতোক্ষনে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, কার কথা বলছি? হ্যাঁ! বলছিলাম, গ্লেন ডোনাল্ড ম্যাকগ্রার কথাই। সাবেক অজি পেসার ম্যাকগ্রাকে ডাকা হতো পিজিয়ন নামে।। এর কারন ছিলো তার চিকন পা।। এই ডাক নাম দিয়েছিলো তার নিউ সাউথ ওয়েলস সতীর্থ ব্রাড ম্যাকনামারা।।
ছবি : সংগৃহীত
যার ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু বলার নেই – এক কথায় অসাধারণ! ১২ নভেম্বর ১৯৯৩ সালে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার ক্রিকেটের অন্যন্য এক সৌন্দর্যের প্রতীক! ক্যারিয়ারটাই দেখুন –
★ ১২৪ টেস্ট ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ৫৬৩!
যা আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের মাঝে ২য় সর্বোচ্চ উইকেট!
★ ২৫০ ওয়ানডে ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ৩৮১! যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট।
ইকোনমি মাত্র ৩.৮৮! যা তাকে আলাদা করে চেনায়।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেয়া বোলারদের মাঝে তার ইকোনমি ২য় সর্বনিম্ন!
★ ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ২ টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, তাতে উইকেট সংখ্যা ৫।
★ ক্যারিয়ারে খেলা ৪ বিশ্বকাপ আসরের (১৯৯৬,১৯৯৯,২০০৩,২০০৭) প্রতিবারই খেলেছেন ফাইনালে। আর চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ৩ বার!
★ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪ বার অংশ নিয়ে ম্যাকগ্রার শিকার ৭১ উইকেট! যা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী করে রেখেছে তাকে।
ছবি : সংগৃহীত
ক্রিকেটার হিসেবে কিংবদন্তির কাতারে থাকা ম্যাকগ্রা মানুষ হিসেবেও যে কিংবদন্তি সমতুল্য, তা বলার আক্ষেপ রাখেনা! ১৯৯৫ সালে জেন স্টিলের সাথে পরিচয়, অতঃপর মঞ্চায়ন হয় এক রুপকথা! ১৯৯৭ সালে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন প্রেমিকা জেন! তখন জেন, ম্যাকগ্রাকে তার ক্যারিয়ার থেকে সরে যেতে বললেও পিছু হটেননি ম্যাকগ্রা! ১৯৯৯ সালে তারা বিবাহ বান্ধনে আবদ্ধ হন। আর তাতেই জয় হয় ভালোবাসার! তবে ২০০৮ সালে ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে স্ত্রী পরলোক গমন করলে ২০০৯ সালে বিশ্বকে ক্যান্সার নিয়ে সচেতন করতে গড়ে তুলেন – ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন! সেই ২০০৯ সাল থেকে এরপর প্রতি বছর হয়ে আসছে ‘গোলাপি টেস্ট’! স্তন ক্যান্সারের সচেতনতা বাড়াতে ও দাতব্য সংগ্রহে কাজ করে। এই টেস্টের একদিন পালন করা হয় ‘জেন ম্যাকগ্রা’ নামে।
আর এভাবেই ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন মানবিকতার দূত। গ্লেন ম্যাকগ্রা নামের অদ্ভুত এক পেসার ক্রিকেট হয়ে জীবনে মিশে গিয়ে হয়ে ওঠেন অসাধারণ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মাত্র ১টি অর্ধশত পূর্নকরা ম্যাকগ্রা এবার হাকালেন তার ২য় অর্ধশত! তবে তা ২২ গজে নয় ; জীবন মঞ্চে! আজ এই অসাধারণ মানুষটারই ৫০ তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন দ্য পিজিয়ন গ্লেন ম্যাকগ্রা!
লেখা : এস, এম তৌহিদ এলাহী
প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।
পৃথিবীর চতুর্থ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেটবোর্ড। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা , ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেটে বোর্ডের পর ধনী ক্রিকেট বোর্ড হল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড,মোট সম্পদের পরিমাণ ৫২ মিলিয়ন ডলার। ইউনিলিভার বাংলাদেশ, কাতার ইয়ারওয়েজ, প্রাণ আর এফ এল গ্রুপ, প্যান প্যাসিফিক হোটেল এবং রিসোর্টস প্রধান স্পন্সর হিসেবে বিসিবিকে ব্যাপক অর্থের যোগান দিয়ে থাকে।
সাকিব, তামিম, মুশফিক , মাশরাফি, মাহামুদুল্লাহ, মুস্তাফিজ ওরা ১১ জন সহ সমগ্র বাংলার ক্রিকেটাররা ১১ দফা দাবী নিয়ে ধর্মঘটের ডাকে দিয়েছে সোমাবার থেকে। বিশ্বগণমাধ্যমের শিরোনাম এখন ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়টি। ভারত, পাকিস্তান,অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসছে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়টি। টাইগাররা ব্যাটে বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে বহুবার শিরোনাম হয়েছে বিশ্বগণমাধ্যমে কিন্তু দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম এবারের ধর্মঘট যেন আলাদাভাবে নজর কেড়েছে বিশ্ব গণমাধ্যমের ।
আলজাজিরার প্রকাশিত প্রতিবেদন, ছবি :সংগৃৃহীত
প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। যত সময় না তাদের ১১ দফা দাবী কার্যকর হচ্ছে তত সময় ক্রিকেট সংক্রান্ত কোন বিষয়ে অংশগ্রহন করবে না তারা।
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন, ছবি :সংগৃহীত
ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এর শিরোনাম ছিল ‘ ভারত সফরের আগে ক্রিকেটারদের এই ধর্মঘটে বিসিবি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে’। আরো উল্লেখ করেছে টি-২০ ক্যাপ্টেন সাকিব সহ , মুশফিক, মাহামুদুল্লাহ প্রেস কনফারেন্স করে বয়কটের ডাক দেয়। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটাররা সহ ৫০ এর বেশী ক্রিকেটাররা অংশ নিচ্ছে ধর্মঘটে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া এর শিরোনাম , ছবি : সংগৃহীত
ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রথম দিন ভারত ট্যুরের সম্ভব্যতা নিয়ে প্রশ্নতুলে শিরোনাম দিয়ে সংবাদ ছাপে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় দিনের প্রতিবেদন, ছবি : সংগৃহীত
টাইমস অফ ইন্ডিয়া দ্বিতীয় দিনের প্রতিবেদনে বলছে , বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ভারত সফরকে প্রভাবিত করবে না।
উইজডেনের শিরোনাম, ছবি :সংগৃহীত
ক্রিকেটের বিখ্যাত পোর্টাল উইজডেন ধর্মঘটের কারণে ভারত সফর নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে শিরোনাম দিয়ে ধর্মঘটের সংবাদ তুলে ধরে।
স্কাইস্পোর্টসের প্রতিবেদন, ছবি : সংগৃহীত
স্কাইস্পোর্টসের শিরোনাম ও ছিল ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের কারণে ভারত ট্যুর শঙ্কায় পড়েছে।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদন ,ছবি : সংগৃহীত
ক্রিকবাজের শিরোনাম, নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ -ভারত সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে এ বিষয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি আত্মবিশ্বাসী।
এছাড়া রয়টার্স, এফপি পাকিস্তানের দ্য ডন সহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয় প্রকাশিত হয়েছে যা বিশ্বব্যাপ্যী বিসিবি এর ইমেজ সংকটে ফেলে দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।