আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশকাপ ২০১৯, চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। সারা দুনিয়ার তাবৎ ক্রিকেট প্রেমী, ক্রিকেট বোদ্ধা সহ সকলের নজর থাকবে টিভি পর্দা ও ক্রিকেট স্টেডিয়ামে । ক্রিকেটের এই মহারণ ‘বিশ্বকাপ ২০১৯’ এর আয়োজক স্বয়ং ক্রিকেটের মাতৃভূমি তথা জন্মভূমি ‘ইংল্যান্ড’এবং সহ আযোজক হিসেবে আছে ‘ওয়েলস’। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত ইংলিশরা ও ওয়েলসরা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক এবং আতিথ্য দিবে বাকি ক্রিকেট দুনিয়াকে । এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯,১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালে তারা ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞের আয়োজক ছিল। এখনো পর্যন্ত ২০১৯ বিশ্বকাপ তাদের আয়োজন দেখে বোঝায় যাচ্ছে যে, পূর্বের সকল আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে এইবারের আয়োজন।
বিশ বছর পর আবারো ক্রিকেট যখন তার জন্মভূমিতে ফিরে এসছে তখন তাবৎ ক্রিকেট দুনিয়া ক্রিকেটীয় উন্মাদনায় মেতে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এইবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের শক্তিশালী দশ দল- স্বাগতিক ইংল্যান্ড, ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া, ক্রিকেট বিশ্বের কথিত মোড়ল ভারত, ক্রিকেট বিশ্বের আনপ্রেডিকটেবেল দল পাকিস্তান, কথিত ‘চোকার’ টিম নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্রিকেটের বুনো সৌন দানবীয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিংহলী সিংহ শ্রীলংকা, ক্রিকেট বিশ্বের উঠতি পরাশক্তি বাংলাদেশ এবং ক্রিকেটের নব্যশক্তি আফগানিস্তান ।
মাঠে যখন এই দশ দলের খেলোয়াড়রা ব্যাট বলের নৈপুন্য দেখাবে তখন গ্যালারী মেতে উঠবে ক্রিকেটীয় উন্মাদনার এক আনিন্দ্য সৌন্দার্যে। গায়ে,মুখে উল্কি ও জাতীয় পতাকা এঁকে কিংবা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের স্টেডিয়াম গুলোতে।
image source: www.indiatvnews.com
image source: www.indiatvnews.com
স্টেডিয়াম গুলো মেতে উঠবে কখনো কখনো ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো, আফ্রিকান জ্যাজ, অস্ট্রেলিয়ান ফোক, কিউই পপ, বাংলার ফোক, ইংলিশ রক কিংবা উপমহাদেশের ধ্রুপদী সংগীত বা বলিউডের সঙ্গীতের মূর্ছনায়। প্রতিটি বিশ্বকাপ যেমন এক একটি ইতিহাস তেমনি এক একটি মহাকাব্যও জন্ম হয় নতুন নতুন নায়কের, কেউবা হয় স্বপ্নপূরণের সারাথি কেউ বা হয় স্বপ্ন ভঙ্গের সারথি।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ভক্তদের বিচার বিশ্লেষণ, চলছে নানা জল্পনা কল্পনা অংশগ্রহণ কারী দশ দলকে নিয়ে চলছে নানা কাটা ছেড়া। কারা এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট কিংবা কারা আগামী ১৪ জুলাই চ্যাম্পিয়ান হয়ে সোনালী রঙের ট্রফি উচিয়ে ধরে সারা বিশ্বকে জানান দিবে যে,“দেখ আমরাই চ্যাম্পিয়ান, পাঁচবছর আমরাই শাসন করব তাবৎ ক্রিকেট দুনিয়া” এ নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় চলছে এখন। বিশ্বকাপ ২০১৯ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাউন্ড রবিন পদ্ধতি এখানে অংশগ্রহণকারী সকল দল পরস্পরের মুখোমুখী হবে তারপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অনৃষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৯৯২ সালে এই পদ্ধতি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বিশ্বকাপ।
image source: crickbuzz.com
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের দশ শহর, লন্ডন, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহাম, ব্রিস্টল, কার্ডিফ, লিডস, চেস্টার-লি-স্ট্রিট, নটিংহাম,সাউদাম্পটন, টানটন শহরের মোট এগারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এইবারের বিশ্বকাপ।
প্রথম সেমিফাইনাল হবে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড ,দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে এজবাজটন এবং শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচ তথা ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লন্ডনের লর্ডসে।
গোল বল আর উইলো ব্যাটের খেলা ক্রিকেট , যার আরেক নাম নাটক আর ২০১৯ বিশ্বকাপ হল মহানাটক। এই মহানাটকের মঞ্চে কারা চৌকশ অভিনেতা তা জানতে হলে আমাদের ৩০মে থেকে ১৪ জুলাই নজর রাখতে হবে খেলার মাঠ ও টিভি পদার্য়। মাঠে ব্যাট বলের নৈপুণ্য চলুক ব্যাট্সম্যানরা চার ছক্কার ফুলঝুরি উড়াক আর দানবীয় গতি কিংবা ঘূর্ণিজাদুতে বোলাররা পরাজিত করুক ব্যাটসম্যানদের সেই সাথে গ্যালারী মেতে উঠুক বুনো উল্লাসে বাকি দুনিয়া মেতে উঠুক ক্রিকেটীয় উন্মাদনায়। জয় হোক ক্রিকেটের।
প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।
বাংলাদেশ যুবারা জিতসে, অভিনন্দন জানান। ফুল দিন, সম্মানের সাথে ওদেরকে নিজেদের বাসায় পৌঁছিয়ে দিন।
তবে দয়া করে এখনই ফ্ল্যাট ঘোষনা কইরেন না। আকবর আলীর মা বা পারভেজ ইমনের বাবাকে গণভবনে ডাইকেন না। এদেরকে টেলিভিশন প্রোডাক্ট বানাবেন না। এদের দিয়ে এখুনি মডেলিং করানোরও দরকার নেই।এখনই ওদের কে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্টারের সাথে তুলনা কইরেন না।।ওদেরকে নিঝের পরিচয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে দিন।
বরং ওদেরকে আইসোলেট করুন। আইসোলেট করুন দেশের নোংরা ক্রিকেট সংস্কৃতি থেকে। ২০০৪ আন্ডার নাইন্টিনে শিখর ধাওয়ান ছিল ইন্ডিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান। ধাওয়ান জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে প্রায় অর্ধ যুগ পরে। ধাওয়ান এখনো উন্নতি করছে নিজের খেলায়, এখনো অজিদের সামনে পেলেই জ্বলে উঠছে বারবার।
সেই বিশ্বকাপের আরেকজন সুরেশ রায়না। প্রায় এক দশক দাপটের সাথে সাদা বলে খেলেছে রায়না৷ দলের বাইরে গেলেও রায়না এখনো আইপিএলের অন্যতম হট কেক।
একই বিশ্বকাপে আমাদের স্টার ছিল নাফিস ইকবাল। নাফিস ইকবালের লাস্ট যে খবর শুনেছিলাম, আইপিএল এ ফিজের দু ভাষি হিসেবে কাজ করতে নাকি ইন্ডিয়া গিয়েছিলেন দুই বছর আগে। আহারে আইপিএল!.
আরেকজন আফতাব আহমেদ। অনেক আগে কোন ছিনতাইকারী হারিকেন দিয়ে বাড়ি মেরে তার মুখ ভচকায়া দিয়েছে বলে পত্রিকায় খবর এসেছিল। এখন নাকি টুকটাক কোচিং করাচ্ছেন।
এহসানুল হক সেজান,আল শাহরিয়ার রোকনের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে?অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এসেও মনে রাখার মতো কিছুই করতে পারেন নি তারা।।
নাঈম ইসলাম টিকে আছেন এখনো না থাকার মতো করেই। এবার তো বিপিএলও তাকে দেখা গেল না। ক্যারিয়ার সম্ভবত শেষ।
অনূর্ধ্ব ১৯ স্টার এনামুল, কোনো কাজে লাগল না। স্টার লিটন দাস দু তিনটা চার মেরেই কাজ শেষ মনে করে(যদিও ভালো করার যথেষ্ট সম্ভাবনা তার আছে)৷ শান্ত থেকে এখনো কিছু পাওয়া গেল না। মিস ডিরেকশনে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া মিরাজ দলের বাইরে।মুস্তাফিজ আর রাবাদার অভিষেক কয়েক মাস আগে পরে।।শুরুতে ফিজকে অনেক বেশি সম্ভাবনাময় মনে হলেও এখন সে রাবাদার চাইতে অনেক পিছিয়ে।।
তবে যুব দল থেকে নিজেদের ক্যারিয়ারকে ভালো অবস্থায় কেউ নিতে পারেন নি এমন নয়।। এদের সংখ্যাটা কম।।মুশফিক,সাকিব,তামিম জ্বলন্ত উদাহরন।।
তাই,প্লিজ এই যুব দলটাকে হারাতে দিয়েন না।
এই দল যে বহু সাধনার ফসল সেটা বিদেশী ধারাভাষ্যকাররাও বারবার বলছিল। দু বছরে অনেক শ্রম দিয়ে এদেরকে তৈরি করা হয়েছে। প্লিজ এদের কেয়ার নিন।
ফ্লাট দিয়ে এখুনি অতি বিত্তবান বানাবেন না, এই বয়সে এতটা ভার নিতে পারবে না। গণভবন এদের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেবে। টিভি স্টার হয়ে গেলে ফেইম সিকিং প্রবনতা চলে আসতে পারে।
ওদেরকে পকেটে ১০ টাকা না ভরে পেছনে ১৫ টাকা ইনভেস্ট করুন। রেসিডেন্সি উন্নত করুন, খাবারের মান বাড়ান। স্থায়ীভাবে মেন্টাল স্ট্রেন্থ ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দিন, রাখুন ট্যাক্টিকাল এনালাইজার।
আজকে ৫০ লাখ টাকার ফ্লাট না দিয়ে যদি এই ইনভেস্টগুলো করতে পারেন, ৪ বছর পর বিদেশী লীগ খেলে তারা ৪ কোটি টাকার এপার্টমেন্ট নিজেরাই কিনতে পারবে।
ভারত কীভাবে একজন যুবা কোহলীকে গ্রেট কোহলী করেছে সেই রোড ম্যাপটাই ফলো করুন প্লিজ।
দেশের এই যুবাদের হাত ধরে পথ দেখুক দেশের ক্রিকেট।
ওদের জন্য প্রার্থনা ও ভালোবাস !
লেখা: জয়নাল আবেদীন
প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।
৬ ফুট ৫ ইঞ্চি দেহের অধিকারী একজন ক্রিকেটারকে সতীর্থরা মজা করে ডাকতো এই নামটা! আরও সহজ করে দিলে একজন বোলারকে ডাকা হতো এই নামটা ধরে! তবে, যেমন তেমন বোলার নয় ; ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন বোলার। যার বোলিং ছিলো বৈচিত্রে ভরপুর! টানা বল করে যেতে পারতেন একই ভাবে, ক্লান্তিহীন দেহে! নিখুঁত লাইন আর লেন্থে! তার এই নিখুঁত লাইন লেন্থ ছিলো, তখনকার ব্যাটসম্যানদের এক আতংকের নাম! সাথে তো দুই দিকেই বল সুইং করানোর ক্ষমতা তো ছিলোই। তবে ছিলো না, অতিরিক্ত গতি ; তবে তার মধ্যম গতির মাঝেও ব্যাটসম্যানদের কম্পন সৃষ্টি হয়ে যেতো!
ছবি : সংগৃহীত
এতোক্ষনে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, কার কথা বলছি? হ্যাঁ! বলছিলাম, গ্লেন ডোনাল্ড ম্যাকগ্রার কথাই। সাবেক অজি পেসার ম্যাকগ্রাকে ডাকা হতো পিজিয়ন নামে।। এর কারন ছিলো তার চিকন পা।। এই ডাক নাম দিয়েছিলো তার নিউ সাউথ ওয়েলস সতীর্থ ব্রাড ম্যাকনামারা।।
ছবি : সংগৃহীত
যার ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু বলার নেই – এক কথায় অসাধারণ! ১২ নভেম্বর ১৯৯৩ সালে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার ক্রিকেটের অন্যন্য এক সৌন্দর্যের প্রতীক! ক্যারিয়ারটাই দেখুন –
★ ১২৪ টেস্ট ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ৫৬৩!
যা আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের মাঝে ২য় সর্বোচ্চ উইকেট!
★ ২৫০ ওয়ানডে ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ৩৮১! যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট।
ইকোনমি মাত্র ৩.৮৮! যা তাকে আলাদা করে চেনায়।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেয়া বোলারদের মাঝে তার ইকোনমি ২য় সর্বনিম্ন!
★ ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ২ টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, তাতে উইকেট সংখ্যা ৫।
★ ক্যারিয়ারে খেলা ৪ বিশ্বকাপ আসরের (১৯৯৬,১৯৯৯,২০০৩,২০০৭) প্রতিবারই খেলেছেন ফাইনালে। আর চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ৩ বার!
★ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪ বার অংশ নিয়ে ম্যাকগ্রার শিকার ৭১ উইকেট! যা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী করে রেখেছে তাকে।
ছবি : সংগৃহীত
ক্রিকেটার হিসেবে কিংবদন্তির কাতারে থাকা ম্যাকগ্রা মানুষ হিসেবেও যে কিংবদন্তি সমতুল্য, তা বলার আক্ষেপ রাখেনা! ১৯৯৫ সালে জেন স্টিলের সাথে পরিচয়, অতঃপর মঞ্চায়ন হয় এক রুপকথা! ১৯৯৭ সালে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন প্রেমিকা জেন! তখন জেন, ম্যাকগ্রাকে তার ক্যারিয়ার থেকে সরে যেতে বললেও পিছু হটেননি ম্যাকগ্রা! ১৯৯৯ সালে তারা বিবাহ বান্ধনে আবদ্ধ হন। আর তাতেই জয় হয় ভালোবাসার! তবে ২০০৮ সালে ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে স্ত্রী পরলোক গমন করলে ২০০৯ সালে বিশ্বকে ক্যান্সার নিয়ে সচেতন করতে গড়ে তুলেন – ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন! সেই ২০০৯ সাল থেকে এরপর প্রতি বছর হয়ে আসছে ‘গোলাপি টেস্ট’! স্তন ক্যান্সারের সচেতনতা বাড়াতে ও দাতব্য সংগ্রহে কাজ করে। এই টেস্টের একদিন পালন করা হয় ‘জেন ম্যাকগ্রা’ নামে।
আর এভাবেই ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন মানবিকতার দূত। গ্লেন ম্যাকগ্রা নামের অদ্ভুত এক পেসার ক্রিকেট হয়ে জীবনে মিশে গিয়ে হয়ে ওঠেন অসাধারণ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মাত্র ১টি অর্ধশত পূর্নকরা ম্যাকগ্রা এবার হাকালেন তার ২য় অর্ধশত! তবে তা ২২ গজে নয় ; জীবন মঞ্চে! আজ এই অসাধারণ মানুষটারই ৫০ তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন দ্য পিজিয়ন গ্লেন ম্যাকগ্রা!
লেখা : এস, এম তৌহিদ এলাহী
প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।
পৃথিবীর চতুর্থ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেটবোর্ড। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা , ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেটে বোর্ডের পর ধনী ক্রিকেট বোর্ড হল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড,মোট সম্পদের পরিমাণ ৫২ মিলিয়ন ডলার। ইউনিলিভার বাংলাদেশ, কাতার ইয়ারওয়েজ, প্রাণ আর এফ এল গ্রুপ, প্যান প্যাসিফিক হোটেল এবং রিসোর্টস প্রধান স্পন্সর হিসেবে বিসিবিকে ব্যাপক অর্থের যোগান দিয়ে থাকে।
সাকিব, তামিম, মুশফিক , মাশরাফি, মাহামুদুল্লাহ, মুস্তাফিজ ওরা ১১ জন সহ সমগ্র বাংলার ক্রিকেটাররা ১১ দফা দাবী নিয়ে ধর্মঘটের ডাকে দিয়েছে সোমাবার থেকে। বিশ্বগণমাধ্যমের শিরোনাম এখন ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়টি। ভারত, পাকিস্তান,অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসছে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়টি। টাইগাররা ব্যাটে বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে বহুবার শিরোনাম হয়েছে বিশ্বগণমাধ্যমে কিন্তু দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম এবারের ধর্মঘট যেন আলাদাভাবে নজর কেড়েছে বিশ্ব গণমাধ্যমের ।
আলজাজিরার প্রকাশিত প্রতিবেদন, ছবি :সংগৃৃহীত
প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। যত সময় না তাদের ১১ দফা দাবী কার্যকর হচ্ছে তত সময় ক্রিকেট সংক্রান্ত কোন বিষয়ে অংশগ্রহন করবে না তারা।
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন, ছবি :সংগৃহীত
ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এর শিরোনাম ছিল ‘ ভারত সফরের আগে ক্রিকেটারদের এই ধর্মঘটে বিসিবি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে’। আরো উল্লেখ করেছে টি-২০ ক্যাপ্টেন সাকিব সহ , মুশফিক, মাহামুদুল্লাহ প্রেস কনফারেন্স করে বয়কটের ডাক দেয়। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটাররা সহ ৫০ এর বেশী ক্রিকেটাররা অংশ নিচ্ছে ধর্মঘটে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া এর শিরোনাম , ছবি : সংগৃহীত
ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রথম দিন ভারত ট্যুরের সম্ভব্যতা নিয়ে প্রশ্নতুলে শিরোনাম দিয়ে সংবাদ ছাপে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় দিনের প্রতিবেদন, ছবি : সংগৃহীত
টাইমস অফ ইন্ডিয়া দ্বিতীয় দিনের প্রতিবেদনে বলছে , বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ভারত সফরকে প্রভাবিত করবে না।
উইজডেনের শিরোনাম, ছবি :সংগৃহীত
ক্রিকেটের বিখ্যাত পোর্টাল উইজডেন ধর্মঘটের কারণে ভারত সফর নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে শিরোনাম দিয়ে ধর্মঘটের সংবাদ তুলে ধরে।
স্কাইস্পোর্টসের প্রতিবেদন, ছবি : সংগৃহীত
স্কাইস্পোর্টসের শিরোনাম ও ছিল ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের কারণে ভারত ট্যুর শঙ্কায় পড়েছে।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদন ,ছবি : সংগৃহীত
ক্রিকবাজের শিরোনাম, নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ -ভারত সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে এ বিষয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি আত্মবিশ্বাসী।
এছাড়া রয়টার্স, এফপি পাকিস্তানের দ্য ডন সহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয় প্রকাশিত হয়েছে যা বিশ্বব্যাপ্যী বিসিবি এর ইমেজ সংকটে ফেলে দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখকের। আমরা লেখকের চিন্তা ও মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল তাই সব সময় নাও থাকতে পারে।